কোরআনের তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী কে পুনরায় বিয়ে করা যাবে তার আয়াত।
আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দেবে অতঃপর তারা তাদের ইদ্দতে পৌঁছবে তখন তোমরা তাদেরকে বাধা দিয়ো না যে, তারা তাদের স্বামীদেরকে বিয়ে করবে যদি তারা পরস্পরে তাদের মধ্যে বিধি মোতাবেক সম্মত হয়। এটা উপদেশ তাকে দেয়া হচ্ছে, যে তোমাদের মধ্যে আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে। এটি তোমাদের জন্য অধিক শুদ্ধ ও অধিক পবিত্র। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না। সূরা বাকারা আয়াত ২৩২
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺 তিন তালাক দেয়ার পর হিল্লাল ছাড়া স্ত্রী কে গ্রহন করা যাবে তার হাদিসে প্রমান দলিল এবং কোরআনের আয়াত নাজিল হবার ঘটনা।
হজরত মা’কাল বিন ইয়াসার (রা.) বলেন, ‘আমার কাছে আমার বোনের বিয়ের প্রস্তাব এলে আমি তার বিয়ে দিই। তার স্বামী কিছুদিন পর তাকে তালাক দেয়। ইদ্দত অতিক্রান্ত হওয়ার পর পুনরায় সে আমার কাছে বিয়ের প্রস্তাব করে। আমি তা প্রত্যাখ্যান করি। আমি শপথ করি যে, তার সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে দেব না। তখন সুরা বাকারার ২৩২ নং আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। এটা শুনে হজরত মা’কাল (রা) বলেন, শপথ করা সত্ত্বেও আমি আল্লাহর নির্দেশ শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। অতঃপর তিনি তার বোনকে ডেকে পাঠিয়ে পুনরায় তার (আগের স্বামী) সঙ্গে তার বোনের বিয়ে দিয়ে দেন এবং নিজের কসমের কাফ্ফারা আদায় করেন। তার বোনের নাম ছিল জামিল বিনতে ইয়াসার (রা.) এবং তার স্বামীর নাম ছিল আবুল বাদাহ (রা)।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির, সহিহ বুখারি শরিফ, ৭ম খণ্ড, হাদিস নং ৪১৭৩)।
এ ছাড়া হিল্লা নাজায়েজ বলে আরেকটি হাদিস উল্লেখ করা যায়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) ও ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী করিম (সা.) হজরত হাফসা (রা.)-কে তালাক দেন। এরপর তিনি তাকে পুনরায় স্বীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন।’ (আবু দাউদ, ৩য় খণ্ড, হাদিস নং ২২৭৭ এবং সুনানে নাসাঈ, ৩য় খণ্ড, হাদিস নং ৩৫৬১) হিল্লা বিয়ের কোনো অস্তিত্বই নেই এবং তা হারাম, নাজায়েজ ও লজ্জাজনক কাজ বলেই উপরের বর্ণনায় পাওয়া যায়। তাই হিল্লা বিয়ে ছাড়াই তালাকের পর পুনরায় স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে নতুন করে দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে করা আবশ্যক। নতুবা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে উভয়ের বসবাস জায়েজ হবে না।