ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ কি এবং এর প্রতিকার কি?

0
92

আমরা যে খাবারই খাই ও পান করি না কেনো, আমাদের শরীর তা প্রস্রাব ও মলের মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বাহিরে বের করে দেয় এবং পুষ্টি আলাদা করে। সেজন্য প্রস্রাব হওয়ার ব্যথা অনুভূতি হওয়ার সাথে সাথেই আমাদের প্রস্রাব করা উচিত। যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রস্রাব হয়,আপনার তবে এটি কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে।

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার মানে হলো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় বেগ পাওয়া এবং প্রস্রাব করা। এটি যেকোন ব্যক্তির প্রতিদিনকার দিন লিপিতে বিঘ্ন ঘটায় এবং ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে থাকে। তাই দ্রুত আরাম পাওয়ার জন্য ঘন ঘন প্রস্রাব হলে শুরুতে অনেকেই না বুঝে এন্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করেন যা বহু ক্ষেত্রেই উল্টো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকের দিনে ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ আসে আবার অনেকের রাতে বেশি আসে আবার কারো ক্ষেত্রে দিন রাতে সমান থাকে। দিনে ৪-৫ বার প্রস্রাবের চাপ আসা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। তবে তার থেকে বেশি বার হলে কিন্তু চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এর সবচেয়ে বড় কারণ হতে পারে মূত্রাশয়ের অতিরিক্ত সক্রিয়তা। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণত একজন ব্যক্তি ঘন ঘন প্রস্রাব করতে প্ররোচিত হয়। ডায়াবেটিস ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার একটি বড় কারণ। শরীরে শর্করার ও শরীরে রক্তের পরিমাণ বেড়ে গেলে এই সমস্যাট বাড়ে।কিডনিতে ইনফেকশন থাকলে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া খুবই স্বাভাবিক, এজন্য আপনার যদি এই সমস্যাটি থাকে তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা করে নিন।

১. মূত্রাশয়ে সংক্রমণ এর কারণে।
২. শীতকালে আমাদের প্রস্রাব বেশি উৎপন্ন হয়।
৩. গর্ভাবস্থায় এই সমস্যা দেখা দেয়।
৪. ডাইবেটিস রোগীর প্রস্রাব বেশি হয়।
৫. প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে গেলে প্রস্রাব বেশি আসে।
৬. অত্যধিক চা,কফি বা অ্যালকোহল গ্রহণ করার ফলেও প্রস্রাব বেশি হয়।
৭. পেটে কৃমি সমস্যা থাকলে প্রস্রাব বেশি আসে, ছোট বাচ্চাদের এই বেশি সমস্যা হয়।
৮. যখন মূত্রাশয় অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে যায় অথবা মূত্রাশয়ের প্রস্রাব জমা করার ক্ষমতা কমে যায়, তখন ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে।

ঘন ঘন প্রস্রাব করার সমস্যা যদি বিশেষ করে রাতের বেলায় হয় তাহলে এটা কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে। যখন কিডনির ছাঁকনি গুলো নষ্ট হয়ে যায় তখন প্রস্রাবের বেগ বৃদ্ধি পায়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সাথে রক্ত যেতে দেখা যায়। সুস্থ কিডনি সাধারণত ব্লাড সেল গুলোকে শরীরের ভিতরে রেখে রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ মূত্র হিসেবে বের করে দেয়। যখন কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তখন ব্লাড সেল বের হতে শুরু করে। প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়ার এই লক্ষণটির কিডনি রোগের সাথে সাথে টিউমার, কিডনি পাথর বা ইনফেকশনেরও ইঙ্গিত হতে পারে।

অনেক সময় পানি বেশি খাওয়ার জন্য ঘন ঘন কথা হতে পারে তাই ঘন ঘন প্রসব হওয়ার জন্য কোন চিন্তা চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই আপনারা বেশি বেশি করে পানি খাবেন এতে করে আপনাদের ব্লাড সার্কুলেশন এবং পাকস্থলী ভালো থাকবে কিডনি ভালো থাকবে ঘন ঘন প্রসব হয় সে কারণে পানি কম খাবেন এটাও ঠিক না ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here