মুসলমানদের বিয়েতে গায়ে হলুদের নামে যে অনুষ্ঠানটি করা হয় সে অনুষ্ঠানটি ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক কোন বৈধতা নেই এই রীতিনীতি টা এসেছে হিন্দু ধর্ম অবলম্বী থেকে বাংলাদেশে আমরা যারা মুসলমান তারাও এই রীতিনীতি গুলো পালন করে থাকে যদিও ইসলামে এগুলোর কোন অনুমোদন নেই একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের অবশ্যই ইসলামের রীতিনীতি অনুসরণ করি চলতে হবে।
যেমন সকালে গায়ে হলুদের নামে সমস্ত শরীরে হলুদ মেখে গোসল করা হয় এবং গ্রামের মেয়েরা এবং বিভিন্ন মহিলা মানুষ যারা ওই অনুষ্ঠানে ছেলেকে গোসল করায় এবং একইভাবে মেয়ের বেলায়ও তাদের আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী সবাই আসে আসার পরে মেয়েকে গায়ে হলুদ দেয়া হয় যা সম্পূর্ণরূপেই পর্দা তরফ করার মত ইসলামের সবচেয়ে মুখ্য যে বিষয়টা সেটা হচ্ছে পর্দা করা ফরজ এখানে নারী এবং পুরুষ উভয় করতে হবে শুধু ছেলেদেরকে পর্দা করতে হবে বা শুধু মেয়ে কি পর্দা করতে হবে এমন কোন বিধান ইসলামের নেই যেহেতু ছেলে গায়ে হলুদের সকালে ছেলেকে সবাই হলুদ দিয়ে গোসল করায় সেখানে অনেক মহিলা থাকে যাদের সাথে দেখা করা ইসলাম শরীয়ত মোতাবেক নাজায়েজ একইভাবে মেয়েকে ও যখন গায়ে হলুদ দিয়ে গোসল করানো হয় সেখানে অনেক পুরুষ থাকে যারা ওই মেয়েকে দেখে থাকে এবং ওই মেয়ে শরীরে সর্বাত্মক তারা দেখে থাকে যাদের সাথে দেখা করাই ইসলাম শরীয়তে নাজায়েজ এমন নাজায়েজ অনুষ্ঠান করে একটি পবিত্র জিনিস শুরু করাটাও নাজায়েজ এক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই ইসলাম শরীয়ত মোতাবেক চলতে হবে এবং হলুদের নামে অশালীনতা আমাদেরকে পরিহার করতে হবে।
তারপর আসা যাক গ্রামের আরও নীতি যেমন ছেলেদের বাড়ি থেকে মেয়েদের বাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যাওয়া হয় সেখানে বিভিন্ন ধরনের কুলা এবং বিভিন্ন ধরনের সাজগোজের জন্য অনেক কিছুই নেয়া হয় এবং সেখানেও ছেলের আত্মীয়-স্বজনরা মেয়েকে গায়ে হলুদ দিয়ে আসে একইভাবে মেয়েদের বাড়ি থেকে ও ছেলের জন্য আর হলুদের বিভিন্ন লুঙ্গি গামছা জুতা এবং অনেক কিছু নিয়ে আসে এইভাবে এক পরিবার থেকে অন্য পরিবারের বিভিন্ন জিনিস দেওয়া হয় উপহার হিসেবে তো এই এই সমস্ত জিনিসগুলো ইসলাম বহির্ভূত এগুলা ইসলামে নাজায়েজ এ তো গেল প্রথম এছাড়াও আরো অনেক ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে যেগুলো ইসলাম সাপোর্ট করে না।
গায়ে হলুদের দিন যত সময় যেতে থাকে অশ্লীলতা ততই বাড়তে থাকে সন্ধ্যার সময় গান বাজনা হইচই নাচানাচি গান বাজনা অনেক কিছু হয়ে থাকে যেখানে ইসলাম গান বাজনা কে হারাম করেছে আর আমরা সেগুলো বাজিয়ে একটা অনুষ্ঠান করে ফেলছি সেখানে দেখা যায় অনেক কম বয়সে মেয়েরাও উঠতি বয়সের মেয়েরাও নাচানাচি করে থাকে এবং তাদের কে অনেকে দেখে আমাদের মধ্যে শয়তানের যে প্রভাব তখন বেড়ে যায় এবং আমাদের মনের মধ্যে নানা রকমের খারাপ চিন্তা ভর করে এগুলো শয়তানের জন্য ভালো কারণ হচ্ছে এর মাধ্যমে শয়তান আমাদেরকে ইসলামের পথ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে একইভাবে গান বাজনা নাচানাচি ছেলের বাড়িতে এবং মেয়ের বাড়িতে উভয়ের বাড়িতেই অনুষ্ঠানটি হয়ে থাকে তারপর আসে বিভিন্ন রকমের খানাদানা এবং সেখানে বর্তমানে এমনও হয় যে বিয়ার খাওয়া হয় যা অ্যালকোহল অ্যালকোহল ইসলামের সম্পূর্ণ নিষেধ এমনকি রাত্রি যাপনের সময় দেখা যায় যে বাসায় স্পেস না থাকার কারণে ছেলে-মেয়ে অনেক সময় একসাথে ঘুমিয়ে থাকে এবং অশালী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে থাকে এটা সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী ইসলামে বিয়ের আগে গায়ে হলুদের নামে কোন কিছুই নেই এবং যা হয়ে থাকে তা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যা হয়ে থাকে তা সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ এতে করে হারামকেই প্রাধান্য দেওয়া হয় সেখানে ইসলামের বিধি-নিষেধকে অমান্য করা হয় আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান ইসলামিক বিধান মেনে চলার তৌফিক দেন সেই দোয়া এবং কামনাই করি এবং নিচে হাদিস গুলো বর্ণনা করা হলো এবং আমরা যাতে গায়ে হলুদ না করি সেটাই আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে ইসলাম এবং শরীয়তে কথা চিন্তা করে।
মুসলমানদের বিয়েতে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান করা আল্লাহর রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে সে তাদের দলভুক্ত বলে গণ্য হবে। (সুনানে আবু দাউদ- ৪/৪৪, হাদীস নং ৪০৩১)। বর্তমানে বিবাহকেন্দ্রিক বহুল প্রচলিত গায়ে হলুদ প্রথাটি একটি হিন্দুধর্মীয় প্রথা। মুসলিম সভ্যতা সংস্কৃতির সাথে গর্হিত এ সংস্কৃতির সামান্যতম সম্পর্ক নেই। গায়ে হলুদ সম্বন্ধে সংসদ বাংলা অভিধান বলছে, গায়ে-হলুদ, বিবাহের অব্যবহিত পূর্বে পাত্রপাত্রীকে হলুদ মাখাইয়া স্নান করানর হিন্দু সংস্কার বিশেষ।