সন্তানদের মানসিক বিকাশে আমরাই বাধা

0
210
সন্তানদের মানসিক বিকাশে
সন্তানদের মানসিক বিকাশে

আমরা আমাদের সন্তানদের মানসিক বিকাশে আমরাই বাধা প্রদান করে থাকি । আমরা সবসময় মনে করি তারা যত বয়স হওক ১৮/১৯/২০ বছর বয়সী হোক আমরা তাদেরকে সব সময় আগলে রাখি  আগলে রাখাটাই তাদের মানসিক বিকাশে বাস্তবতাটাকে শিখার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়, দেখা গেছে 

আমরা তাদেরকে লেখাপড়া শেখাই তারা এসএসসি পাস করে এইচ এস সি পাস করে তারা ব্যাচেলর ডিগ্রী পাস করে তারা বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট এমবিএ,  বিবিএ,  বিভিন্ন ডিগ্রী নেওয়ার পর যখন তারা বাস্তব জীবনে প্রবেশ করে তখন দেখা যায় যে তারা চাকরি পাচ্ছে না । তাদের মনের মধ্যে একটা এম্বিশন থাকে যে সরকারি চাকরি করবে অথবা প্রাইভেট চাকরি করবে অথবা কোম্পানিতে চাকরি করবে এই বিষয় নিয়ে তারা যখন লেখাপড়া করে যখন তারা চাকরি না পায় তখন তারা ফাস্ট্রেশন এবং এজন্য দায়ী আমরাই।

 উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে ১৮/১৯/২০ বছর বয়সী ছেলেরা তাদের নিজেদের খাবার, কোন কিছু কেনা জামা কাপড় তারা নিজেরাই আশেপাশের হোটেল রেস্টুরেন্ট বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে সেগুলো কিনে থাকে কিন্তু আমরা কি করি? 

 আমাদের  বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় বাবা উপার্জন করে আর সেই টাকা দিয়ে সন্তানকে লেখাপড়া করায় পিতা-মাতার স্বপ্নটাই তারা তাদের সন্তানদের চোখে দেখায় তার পরে বাস্তব জীবনে গিয়ে দেখা যায় যে তারা আর সফল হতে পারে না এ জন্য মূলত পিতা মাতা দায়ী।

 যেটা করা যেতে পারে সেটা হচ্ছে একটা সন্তান যখন ১৩ বছর হয় তখন তাদেরকে আমরা যেমন কৃষক কৃষি কাজে অথবা আপনার দোকান আছে আপনার ফার্মেসি আছে আপনার কাপড়ের দোকান আছে আপনার সবজির ব্যবসা করেন আপনি যে কোন ব্যবসা করেন যে কোন চাকরি করেন আপনারা  আপনাদের সন্তানদেরকে আপনাদের সাথেই রাখেন এতে করে তারা বাস্তবতা কি তারা তা জানতে পারবেন শিখতে পারবে বাস্তবতা কি জিনিস সেটা উপলব্ধি করতে পারবে এই উপলব্ধি করা থেকে সে অনেক কিছু শিখতে পারবে যেটা তার পরবর্তী জীবনে অনেক উপকারে আসবে।

 যেমন আপনার সন্তান লেখাপড়া করলো কিন্তু সে চাকরি পাচ্ছে না তার মধ্যে যে ডিপ্রেশন ফাস্টেশন হবে। একটা ছেলে যখন ১৫ বছর থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি কোন একটা কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকে তখন লেখাপড়ার সাথে তার বাস্তব জ্ঞান টাও একই সাথে বেড়ে ওঠে থাকবে।

 তখন সে তাঁর বাস্তবিক জ্ঞান এবং শিক্ষা দুটোই একসাথে জীবনটাকে গড়ে তোলার চেষ্টা করে। ১৫ বছর বয়স থেকে ২৩ বছর বয়স পর্যন্ত আট বছরে যদি কোনো কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকে লেখাপড়ার পাশাপাশি তাহলে সে চাকরির ওপর ডিপেন্ডেন্ট হবে না তখন সে তার শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে এবং বাস্তব যে কাজের অভিজ্ঞতা সেটাকে কাজে লাগিয়ে খুব অল্প বয়সে সফল হতে পারবে ২৩/২৪ বছর বয়সে যখন কোন ছেলে সফলতা পায় তার জীবনে আর পিছন দিকে ফিরে তাকাতে হয় না এমনকি পরনির্ভরশীলতা থাকেনা তখন সে সমাজে রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর।

তাই আমরা আমাদের সন্তানগুলোকে লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজের সাথে সংযুক্ত করে দিব যাতে তারা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here