২০২২ সালের নতুন আইন করেছে সরকার মদ বিক্রির লাইসেন্স দিবে সহজ শর্তে। সরকার মদের ব্যবসার লাইসেন্স দিচ্ছে এলাকা ভিত্তিক যদি কোন এলাকায় ১০০ জন মত পান কারী থাকে তবে সে এলাকায় মদ বিক্রির লাইসেন্স দিবে সরকার। সরকারের এখন প্রধান লক্ষ ঘরে ঘরে মদ পৌছে দেয়া। এই অমুসলিম সরকার দেশের গনতন্ত্র নষ্ট করে এখন ইসলাম নষ্ট করার চেষ্টায় নেমেছে ।
মাদকদ্রব্য মানুষের দৈহিক, মানসিক বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে মাদক গ্রহীতা নেশার টাকা সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সমস্যা সৃষ্টি করে। ইসলাম কল্যাণ ও উপকারের ধর্ম। এ জন্য ইসলাম মাদক ও নেশাদ্রব্য গ্রহণকে হারাম করেছে। আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন- হে ঈমানদারগণ নিশ্চয় মদ, জুয়া, পূজার বেদি, লটারি ইত্যাদি ঘৃণিত ও শয়তানের কাজ, তোমরা এ থেকে বিরত থাকলে সফল হবে (সূরা মায়িদা, আয়াত ৯০)। আল্লাহপাক আরও বলেন, তারা আপনাকে মদ, জুয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করে আপনি বলুন উভয়টিতে রয়েছে মহাপাপ (সূরা বাকারা, আয়াত ২১৯)। মাদক বিষয়ে নবী (সা.)-এর অসংখ্য বাণী রয়েছে। তিনি বলেছেন, মাদক গ্রহণকারী জান্নাতে যাবে না (ইবনে মাজাহ)। আমার উম্মতের একদল লোক মদ পান করবে তারা মদকে অন্য পানীয়ের নামে নাম পরিবর্তন করে পান করবে। নেতাদের গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে সম্মান দেখানো হবে। যখন এ দিন আসবে তখন ভূমিধস, বানর, শূকরের মতো আকৃতি বিকৃতি হবে (বুখারি-ইবনে মাজাহ)। আল্লাহপাক অঙ্গীকার করেছেন, যে মদ পান করবে তাকে ত্বীনাতুল খাবাল অর্থাৎ জাহান্নামিদের দেহ থেকে বেরোনো ঘাম, রক্ত ও পুঁজ যা জাহান্নামে জমা হবে তা পান করানো হবে (মুসলিম)। নিশ্চয় ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা নবুয়ত ও রহমত দিয়ে শুরু হয়েছে, এরপর এটা রহমত হিসেবে হবে, অতঃপর অত্যাচারী শাসকের যুগ হবে, এরপর কঠোরতা, উচ্ছৃঙ্খলতার যুগ হবে, নারী দেহ, মদককে বৈধ মনে করা হবে। তারপরও তারা রিজিকের প্রাচুর্য ও সাহায্যপ্রাপ্ত হবে, আল্লাহর সাথে (হিসাবের মাঠে) সাক্ষাৎ হওয়া পর্যন্ত (বায়হাকী)
সে সময়ের মুসলমান পরিপূর্ণ ঈমানদার ছিলেন। আল্লাহ ও তার রাসূলের বিধান ছিল তাদের কাছে সব কিছুর ওপরে। তারা নৈতিকতার উচ্চস্তরে ছিলেন তাই এক ঘোষণায় মদ বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের দেশে মাদকের বিরুদ্ধে যে ব্যবসা চলছে এর সঙ্গে নৈতিক শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে, ইসলাম মাদকদ্রব্য হারাম করেছে তাই মাদককে সব স্তরে নিষিদ্ধ করতে হবে।
লেখক : অধ্যক্ষ ফুলগাঁও ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, কুমিল্লা