রাজধানীর নাখালপাড়া থেকে এক হালি (চারটি) ডিম কেনেন বেসরকারি চাকরিজীবী হারুনুর রশিদ। তিনি জানান, দাম বাড়ার কারণে এক ডজন না কিনে তিনি এক হালি কিনেছেন ৫৫ টাকায়। শুধু ডিম নয়, খরচ বাঁচাতে অন্য জিনিসের ক্ষেত্রেও একই রকম কাটছাঁট করছেন।
এই বাজারের মা রোকেয়া ব্রয়লার হাউস থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে এক কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের একটি ব্রয়লার মুরগি কিনেছেন রিপন মিয়া।
তিনি বলেন, ‘ডিজেলের দাম বাড়লেও এক লাফে মুরগরি দাম এত বাড়ার কোনো কারণ নেই। এক সপ্তাহ আগেও দেড়শ টাকার মধ্যে ব্রয়লার কিনতে পেরেছি। এমন কী ঘটনা ঘটল যে, কেজিতে ৫০ টাকা বাড়াতে হবে?’
এ ব্যাপারে এক বিক্রয়কর্মী জানান, ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে মুরগি আনতে তাদের গাড়ি ভাড়া বেড়েছে। মুরগির খাদ্যের দামও বেড়েছে। এ ছাড়া মুরগি মরেও যায়। সব মিলিয়ে মুনাফার হিসাব করতে হয়।
কতটা অস্থিতিশীল পণ্য দুটির দাম- তা সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার দরের প্রতিবেদন দেখলে টের পাওয়া যায়।
সংস্থাটির তথ্য বলছে, গত ২ আগস্ট প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকা। আর শনিবার বিক্রি হয়েছে ১৮৫ থেকে ২০০ টাকা। টিসিবির হিসাবে ১১ দিনে মুরগির দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। তবে বাস্তবে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা।