একই মজলিসে তিন তালাক এক তালাক কুরআন-হাদিস অনুযায়ী

2
1001

একই মজলিসে একত্রিত তিন তালাক বা রাগের মাথায় তিন তালাক ও রুজু কি? এবং কুরান-হাদীস অনুযাই সহি তালাক ব্যবস্থা কেমন।

৩২৮৩-[১০] রুকানাহ্ ইবনু ’আব্দ ইয়াযীদ হতে বর্ণিত। তিনি স্বীয় স্ত্রী সুহায়মাহ্-কে নিশ্চিত তালাক দিলেন। অতঃপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বিষয়টি অবহিত করে বললেন, আল্লাহর কসম! আমি এক ত্বলাক (তালাক)ের নিয়্যাত করেছি, অন্য কিছু নয়। এটা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর কসম! তুমি কি এক তালাক ব্যতীত অন্য কিছু নিয়্যাত করনি? আমি বললাম, আল্লাহর কসম! এক তালাক ব্যতীত অন্য কিছু নিয়্যাত করিনি। এতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার নির্দেশ করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, রুকানাহ্ তার স্ত্রীকে ’উমার (রাঃ)-এর যুগে দ্বিতীয় এবং ’উসমান (রাঃ)-এর যুগে তৃতীয় তালাক দেন। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ ও দারিমী; কিন্তু নিশ্চয় তারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্বলাক (তালাক)ের উল্লেখ করেননি)[1]

[1] হাসান : আবূ দাঊদ ২২০৬, তিরমিযী ১১৭৭, ইবনু মাজাহ ২০৫১, দারিমী ২২৭৭।

৩২৮৫-[১২] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, জোর-জবরদস্তিমূলক তালাক ও (ক্রীতদাস বা দাসী) মুক্তি হয় না। (আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ)[1]

[1] হাসান : আবূ দাঊদ ২১৯৩, ইবনু মাজাহ ২০৪৬, নাসায়ী ২০৪৪, আহমাদ ২৬৩৬০, ইরওয়া ২০৪৭, সহীহ আল জামি‘ ৭৫২৫।

৩২৮৬-[১৩] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নির্বোধ ব্যক্তির তালাক ব্যতীত সর্বপ্রকার তালাক গৃহীত হয়ে থাকে। (তিরমিযী; তিনি বলেন, হাদীসটি গরীব এবং হাদীসের জনৈক বর্ণনাকারী ’আত্বা ইবনু ’আজলান দুর্বল ও ত্রুটিযুক্ত)[1]

[1] য‘ঈফ : তিরমিযী ১১৯১, ইরওয়া ২০৪২, য‘ঈফ আল জামি‘ ৪২৪০। কারণ এর সনদে ‘আত্বা বিন ‘আজলান একজন মাতরূক রাবী।

৩২৯২-[১৯] মাহমূদ ইবনু লাবীদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, তিনি তার স্ত্রীকে একসঙ্গে তিন তালাক দিয়েছেন। এটা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ভীষণভাবে রাগের সাথে দাঁড়িয়ে বললেন- আমি তোমাদের মধ্যে থাকাবস্থায় আল্লাহর কিতাব (শারী’আতের বিধান)-এর সাথে খেলা (অবজ্ঞা-অবহেলা) করছ? এ কথা শুনে জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি তাকে হত্যা করব? (নাসায়ী)[1]

[1] য‘ঈফ : নাসায়ী ৩৪০১, য‘ঈফ আল জামি‘ ২১৮৩।

সহীহ মুসলিম 1472 গ

আবু আল-সাহবা ইবনে আব্বাসকে বললেন:

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবু বকরের জীবদ্দশায় তিন তালাক (এক সাথে উচ্চারিত) এক হিসাবে বিবেচিত হয়নি কিনা তা আপনার তথ্য দিয়ে আমাদেরকে আলোকিত করুন। তিনি বলেনঃ বাস্তবে তাই ছিল, কিন্তু উমর (রাঃ)-এর খিলাফতকালে লোকেরা যখন ঘন ঘন তালাক দিতে শুরু করে, তখন তিনি তাদেরকে তা করতে দেন (এক নিঃশ্বাসে তিন তালাক উচ্চারণকে এক হিসাবে গণ্য করার জন্য)।

সুনানে আবি দাউদ 2196

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত:

রুকানা ও তার ভাইদের পিতা আবদ ইয়াজিদ উম্মে রুকানাকে তালাক দেন এবং মুজায়না গোত্রের এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গিয়ে বললেনঃ সে আমার কোন কাজেই আসে না, তবে সে আমার জন্য চুলের মতই উপকারী। এবং সে তার মাথা থেকে একটি চুল নিল। তাই আমাকে তার থেকে আলাদা করে দাও। রাসুল (সা.) ক্রোধান্বিত হয়ে উঠলেন। তিনি রুকানাহ ও তার ভাইদেরকে ডাকলেন। তখন তিনি তার পাশে যারা বসা ছিলেন তাদের বললেন। আপনি কি অমুককে দেখতে পাচ্ছেন যে অমুক-অমুকের ব্যাপারে আবদু ইয়াজিদের সাদৃশ্য রয়েছে; এবং অমুক অমুক কে তার সাথে সাদৃশ্য রাখে? তারা উত্তর দিলঃ হ্যাঁ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবদু ইয়াযীদকে বললেনঃ তাকে তালাক দাও। তারপর তিনি তাই করলেন। তিনি বললেনঃ তোমার স্ত্রী রুকানার মা ও তার ভাইদেরকে বিয়ে করে নিয়ে যাও। তিনি বললেনঃ আমি তাকে তিন তালাক দিয়েছি, হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেনঃ আমি জানিঃ তাকে ফিরিয়ে নাও। অতঃপর তিনি আয়াতটি পাঠ করলেনঃ “হে নবী!

আবু দাউদ বলেনঃ নাফি (আঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি। উজাইর ও আবদুল্লাহ খ. ইয়াজিদ খ. রুকানাহ তার পিতার কাছ থেকে তার পিতামহের কর্তৃত্বে পড়ে: রুকানাহ তার স্ত্রীকে একেবারে তালাক দিয়েছিলেন (অর্থাৎ অপরিবর্তনীয় তালাক)। নবী (সাঃ) তাকে তার কাছে ফিরিয়ে দিলেন। এই সংস্করণটি (অন্যান্য সংস্করণগুলির তুলনায়) সুগঠিত, কারণ তারা (অর্থাৎ এই বর্ণনাকারীরা) তার লোকের সন্তান এবং পরিবারের সদস্যরা তার ক্ষেত্রে বেশি সচেতন। রুকানাহ তার স্ত্রীকে একেবারে তালাক দিয়েছিলেন (অর্থাৎ এক উচ্চারণে তিন তালাক) এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একে এক তালাক দিয়েছেন।

🌹আবুস সাহবা – রাহিমাহুল্লাহ – ইবনে আব্বাস – রাদিয়াল্লাহু আনহু – কে বললেন –

‘আপনি কি জানেন রাসুলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -আবু বকর – রাদিয়াল্লাহু আনহু – ও উমর – রাদিয়াল্লাহু আনহু -‘র শাসন আমলের প্রথম তিন বছর পর্যন্ত তিন তালাককে এক তালাক গণনা করা হতো?

ইবনে আব্বাস – রাদিয়াল্লাহু আনহু – বললেন হ্যা? (মুসলিম,৩৭৪৭)

🌹প্রথম দলিল– আবুস সাহবা – রাহিমাহুল্লাহ – ইবনে আব্বাস – রাদিয়াল্লাহু আনহু – কে বললেন- আপনি কি জানেন –

রাসুলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – আবু বকর – রাদিয়াল্লাহু আনহু – ও উমর – রাদিয়াল্লাহু আনহু – ‘র শাসন আমলের প্রথম তিন বছর পর্যন্ত তিন তালাককে এক তালাক গণনা করা হতো?

ইবনে আব্বাস (রাদি.) বললেন হ্যা? (মুসলিম,৩৭৪৭)

দ্বিতীয় দলিল– রুকানা ইবনে ইয়াজিদ তাঁর স্ত্রীকে একই মজলিসে তিন তালাক দেওয়ার পর (তাকে রাখার আগ্রহে) খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন।

তখন রাসুলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – তাকে প্রশ্ন করলেন, কীভাবে তাকে তালাক দিয়েছো?

রুকানা বললেন আমি তাকে তিন তালাক দিয়েছি। রাসুলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – বললেন একই মজলিসে? রুকানা বললেন হ্যাঁ।

রাসুলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -বললেন এটা কেবল এক তালাক হয়েছে।

তুমি চাইলে তাকে রাজয়াত করে নাও। (মুসনাদে আহমদ,২৩৮৭/ আবু ইয়ালা,২৫০০ সহিহ)

তৃতীয় দলিল

রাসুলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে সংবাদ দেওয়া হলো এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে এক সাথে তিন তালাক দিয়ে দিয়েছে।

তখন তিনি খুব রাগান্বিত হয়ে দাঁড়ালেন। অতপর বললেন – ‘আমি তোমাদের মধ্যে বর্তমান থাকতে আল্লাহর কিতাব নিয়ে তামাশা করা হচ্ছে?’ তখন একজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসুল আমি কি এই লোককে হত্যা করবো? ( নাসাঈ,৩৪০১)

এটা কীভাবে সম্ভব যে আল্লাহর রাসুলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – একটি কাজকে আল্লাহর কিতাব নিয়ে তামাশা বলবেন।

আবার এই কাজকে কাযর্কর বলে স্বীকৃতি দেবেন?

চতুর্থ দলিল : রাসুলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – বলেছেন -‘যে ব্যক্তি আমাদের নির্দেশ বহির্ভূত কাজ করবে তা প্রত্যাখ্যাত হবে।’ ( বুখারি,২৫৫০)

একসাথে তিন তালাক কার্যকর করে দেওয়া যেহেতু শরিয়া বহির্ভূত কাজ (যা আমারা পূর্বে আলোচনা করে এসেছি) তাই তা প্রত্যাখ্যাত হবে।

কিন্তু যেহেতু এক তালাক কাযর্কর করতে কোন অসুবিধা নেই এবং তাই কার্যকর করা হবে।

মোটকথা রাসুলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – এক সাথে তিন তালাক কাযর্কর করেছেন এর ন্যূনতম প্রমাণ নেই।

রবং নববিযুগে তিন তালাককে এক তালাকগণ্য করা ছিলো সর্বসিদ্ধ ব্যপার। যার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে অন্য পথ অবলম্বন করার সামান্যতম অবকাশ নেই।

🌹মহান আল্লাহ বলেন- “আল্লাহ ও তার রাসূল কোন বিষয়ে নির্দেশ দিলে কোন মুমিন পুরুষ বা মুমিন নারীর সে বিষয়ে ভিন্নমত পোষন করার অধিকার থাকেনা। যে আল্লাহ ও তার রাসূলকে অমান্য করল সে স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হল”-(আল কুরআন: সূরা আহযাব-৩৬)।

ইবনু আব্বাস রা. বলেন, রুকানার পিতা আব্দু ইয়াযীদ তার স্ত্রী উম্মু রুকানাকে তালাক দেন এবং মুযাইনাহ গোত্রের এক মহিলাকে বিবাহ করেন। একদিন মুযাইনাহ গোত্রের ঐ মহিলা নাবী সা. এর কাছে এসে বলল, তার স্বামী সহবাসে অক্ষম।…আপনি আমার ও তার মাঝে বিচ্ছেদ করিয়ে দিন। নাবী সা. এতে অসন্তুষ্ট হন।…অত:পর তিনি আব্দু ইয়াযীদকে ডেকে বলেন, তুমি তাকে তালাক দাও। সুতরাং তিনি তাকে তালাক দিলেন। অত:পর নাবী সা. বলেন তুমি উম্মু রুকানাকে পুনরায় গ্রহণ(বিবাহ) করো। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল সা.! আমিতো তাকে তিন তালাক দিয়েছিলাম!! নাবী সা. বললেন, আমি তা জানি। তুমি তাকে গ্রহণ(বিবাহ) করো। এরপর তিনি সা. আল কুরআনের সূরা তালাক এর ১ নং আয়াত পড়ে শুনালেন-“যখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের ত্বালাক দিবে তখন তাদের ইদ্দাতকালের প্রতি লক্ষ্য রেখে তালাক দিবে”-(সুনান আবূ দাউদ: হাদীস নং ২১৯৬ সহীহ)।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে- দুই বার তালাকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়ার পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার বা মুক্ত করে দেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য স্বামী সর্বোচ্চ কতটা সময় পেতে পারেন?

(০২:২২৬ ও ২২৭) নং আয়াতের বক্তব্য অনুসারে, স্বামী তার স্ত্রীর নিকটে যাবেনা বলে সংকল্প (ঈলা) প্রকাশ করার পর থেকে তালাকের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সর্বোচ্চ চার মাস পর্যন্ত সময় পেতে পারেন। যেহেতু বিষয়টি অযথা ঝুলিয়ে রাখতে নিষেধ করা হয়েছে, আবার দু’বার তালাক দেয়ার পরও সেই স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং তৃতীয়বার ঋতুস্রাব সমাপ্ত হওয়ার পরও স্বামীর পক্ষ থেকে চূড়ান্তভাবে (৩য়) তালাকের সিদ্ধান্ত না জানানো হলে তৃতীয় পবিত্র অবস্থার সময় সমাপ্ত হওয়ার পর চতুর্থ ঋতুস্রাব শুরু হলে আপনা আপনি চূড়ান্তভাবে তালাক হয়ে যাবে।

তবে স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে না করে থাকলে এবং চতুর্থবার ঋতুস্রাব শুরু না হলে তকে বিয়ে করে ফিরিয়ে নেয়ার বা চূড়ান্তভাবে তালাকের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সর্বোচ্চ সময়সীমা তিন মাসের অধিক হওয়া উচিত হবেনা। আর এই ইদ্দতকাল পূর্ণ হওয়া পর তালাকপ্রাপ্তা নারী বিধিমত অন্যত্র বিয়ে করতে পারবেন।

মুসলিম শরীফের ব্যখ্যা- তাকমিলা ফাতহুল মুলহিমের ভলিয়ুম ১ এর ১৫১ পৃষ্ঠা-
Sahih Muslim, Book 009, Number 3493

Sahih Muslim 1472 c » The Book of Divorce-

[সহীহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, অধ্যায়ঃ ১৯/ তালাক- হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪২।

ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) তাঊস (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, আবূ সাহবা (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে বললেন, আপনার সেই সব (বিরল ও অভিনব প্রকৃতির হাদীস) হতে কিছু উপস্হাপন করুন না! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবূ বকর (রাঃ) এর যুগে তিন তালাক কি এক তালাক ছিলনা? তিনি বললেন, তো ছিলোতো; পরে যখন উমর (রাঃ)-এর যুগে লোকেরা বেধড়ক ও উপর্যপরি তালাক দিতে লাগল তখন উমর (রাঃ) সেটিকে (অর্থাৎ তিন তালাকের যথার্থ বিধি) তাদের জন্য কার্যকর করলেন।]

Sahih Muslim, Book 009, Number 3491

Sahih Muslim 1472 a » The Book of Divorce-

[সহীহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, অধ্যায়ঃ ১৯/ তালাক- হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪১।

ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি ইবনু আব্বাস (রাঃ) সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে এবং আবূ বকর (রাঃ)-এর যুগে ও উমর (রাঃ)-এর খিলাফতের প্রথম দুই বছর পর্যন্ত তিন তালাক এক তালাক সাব্যস্ত হত। পরে উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বললেন, লোকেরা একটি বিষয়ে অতি ব্যস্ততা দেখিয়েছে যাতে তাদের জন্য ধৈর্যের (ও সুযোগ গ্রহণের) অবকাশ ছিল। এখন যদি বিষয়টি তাদের জন্য কার্যকর সাব্যস্ত করে (তবে তা-ই কল্যাণকর হবে।) সুতরাং তিনি তা তাদের জন্য বাস্তবায়িত ও কার্যকর সাব্যস্ত করলেন।]
Sahih Muslim, Book 009, Number 3492

Sahih Muslim- 1472 b » The Book of Divorce-
[সহীহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, অধ্যায়ঃ ১৯/ তালাক- হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৩। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) আবূস সাহবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে বলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর (রাঃ)-এর সময়ে কি তিন তালাককে এক তালাক ধরতেন? তিনি বলেন, হাঁ এরুপই ছিল। তবে উমর (রাঃ)-এর যমানায় লোকেরা বেধড়ক ও উপর্যপরি তালাক দিতে লাগল। তারপর তিনি সেটিকে যথার্থভাবে কার্যকর করেন (অর্থাৎ তিন তালাকে পরিণত করেন।)]

হাদিছের বক্তব্যে রাসূল (সাঃ) এর আমলে ও হযরত আবু বকর (রাঃ) এর খিলাফতের পুরোটা সময় এবং হযরত ওমর (রাঃ) এর খিলাফতের প্রথম দুই কিংবা তিন বছর ‘একত্রে তিন তালাক’ দেয়াকে ‘এক তালাক’ হিসেবে গণ্য করা হত কিনা তার উত্তরে- Yes অর্থাৎ ‘হাঁ’ শব্দটি উচ্চারিত হয়েছে। আর (3491/1472a/৩৫৪১) নং হদিছে তিন তালাককে যে এক তালাক হিসেবেই গণ্য করা হত তা স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে।

 

 

2 COMMENTS

  1. ভাই উপরের দলিল গুলা কি একটা কাগজের মাজে কুনো মুফতি সাহেবের শিল শহ দেওয়া যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here