যদি আপনার স্ত্রী আপনার কথা না শোনে তাহলে কি করবেন?

0
219

যদি আপনার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করতে আপনার অসুবিধা হয় এবং সে আপনার কথা না শোনে, তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে এক ধাপ পিছিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যোগাযোগ যেকোনো সম্পর্কের একটি মূল অংশ এবং আপনার উভয়ের জন্য কাজ করে এমন একটি সমাধান খুঁজে বের করার জন্য একসাথে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু পদক্ষেপ আপনি চেষ্টা করতে পারেন:

1. সমস্যা চিহ্নিত করুন: আপনি আপনার স্ত্রীর কাছে যাওয়ার আগে, সমস্যাটি কী এবং আপনি কী অর্জন করতে চান তা বোঝার চেষ্টা করুন।
2. শ্রদ্ধাশীল হোন: আপনার স্ত্রীর সাথে কথা বলার সময়, শান্ত এবং শ্রদ্ধার সাথে কথোপকথনের কাছে যান। অভিযুক্ত বা মুখোমুখি হওয়া এড়িয়ে চলুন।
3. তার দৃষ্টিভঙ্গি শুনুন: আপনার স্ত্রীকে পরিস্থিতি সম্পর্কে তার চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি শেয়ার করতে উত্সাহিত করুন। তার দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করুন এবং তার অনুভূতি স্বীকার করুন।
4. সাধারণ স্থল খুঁজুন: এমন এলাকাগুলি সন্ধান করুন যেখানে আপনি উভয়েই সম্মত হন এবং সেখান থেকে নির্মাণ করুন।
5. আপস: একটি সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন যা আপনার উভয়ের জন্য কাজ করে। এর মধ্যে আপনার কিছু দাবির সাথে আপস করা বা একটি মধ্যম স্থল খোঁজা জড়িত থাকতে পারে।
6. বাইরের সাহায্য নিন: যদি সমস্যাটি তাৎপর্যপূর্ণ হয় এবং আপনি নিজে থেকে এটি সমাধান করতে অক্ষম হন, তাহলে একজন থেরাপিস্ট বা কাউন্সেলরের সাহায্য নেওয়ার কথা বিবেচনা করুন।

এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে সফল সম্পর্কের জন্য উভয় অংশীদারের কাছ থেকে কাজ প্রয়োজন। একসাথে কাজ করে এবং একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গির জন্য খোলা থাকার মাধ্যমে, আপনি আপনার সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে এবং আপনার যোগাযোগকে উন্নত করতে পারেন।

দাম্পত্য সম্পর্ক যতই মধুর হোক না কেন, মনোমালিন্য হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিটি মানুষের কিছু ভালো দিক থাকে, আবার অন্ধকার জায়গাও থাকে। এ দুটি জিনিস নিয়েই চলতে হয়। তবে কদিন পরপরই মনোমালিন্য ভালো লক্ষণ নয়।

পুরুষরা সাধারণত স্ত্রীর বেশিরভাগ বিষয়ই মেনে নেন। তবে এমন কিছু কিছু বিষয় রয়েছে, যা তারা একবারেই পছন্দ করেন না। এর প্রভাবে অনেক সময় দাম্পত্য তলানিতে চলে যায়। সেই বিষয়গুলো জেনে, তা থেকে দূরে থাকলে সম্পর্কটা অনেক মধুর হতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ সময়ের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলুন জেনে নেয়া যাক সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে।

স্বামী স্ত্রী যে পাচঁটি আচরণ অপছন্দ করে 

জোরে কথা বলা
এমন অনেক নারী আছেন, যারা চিৎকার করে কথা বলেন। নিজের কখনোই দোষ মেনে নিতে চান না। বরং সব সমস্যার সমাধান হিসেবে চিৎকারের সাহায্য নেন। এমনকী বহু সময় তো ছোটখাট বিষয়েও তারা গলা তুলে কথা বলেন। কিন্তু স্ত্রীর এই অভ্যাস স্বামীর পছন্দ হয় না। বরং তারা চান যত দ্রুত সম্ভব স্ত্রী যেন নিজেকে বদলে নেন।

বাড়তি কথা
কিছু মানুষের বাড়িত কথা বলার অভ্যাস আছে। তারা যেকোনো বিষয় নিয়েই অহেতুক কথা বলতে থাকেন। স্ত্রীর মধ্যে এই অভ্যাস থাকলে স্বামীর সমস্যা হয়। তারা চান স্ত্রী যেন এই ভুল শুধরে নেন। কোনো কোনো পুরুষ মুখ ফুটে বলেন, কেউ বলেন না।

পরনিন্দা 
অনেক নারী সব সময় পরনিন্দা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু এমনটা পছন্দ নয় পুরুষদের। তাই স্বামীর মন খুশি রাখতে চাইলে পরনিন্দা করা যাবে না একবারেই। বরং নিজেদের জীবনের দিকে মনোনিবেশ করাই ভালো।

বাবার বাড়ির প্রশংসা
অনেক নারী বাবার বাড়ি নিয়ে বড়াই করেন। কিন্তু বারবার স্বামীর সামনে এমনটা করা ঠিক না। এতে স্বামী ভাবতে শুরু করেন যে এভাবে তার পরিবারকে ছোট করা হচ্ছে। তাই স্ত্রীর কাছে বাবার বাড়ির অত্যধিক প্রশংসা শুনলেই পুরুষের মন খারাপ হয়।

নিজেকে বেশি গুরুত্ব দেয়া
বিয়ের পর স্ত্রী ও স্বামীর সমান সমান ভাগ। তবে অনেক সময় দেখা যায়, স্ত্রী নিজেরটা ছাড়া কারও বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এমনকী স্বামীর স্বার্থও তার কাছে গৌন। এই ধরনের বদভ্যাস নারীদের অবশ্যই ছাড়তে হবে। তবেই স্বামীর মনের কাছে থাকা যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here