স্ত্রীর উপার্জন হারাম নাকি হালাল ?

0
364
স্ত্রীর উপার্জন হারাম নাকি হালাল
স্ত্রীর উপার্জন হারাম নাকি হালাল

স্ত্রীর উপার্জন হারাম নাকি হালাল ?

নারীদের উপার্জন হালাল নাকি হারাম হ্যাঁ ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক যদি পর্দার কোন সমস্যা না হয় সেই রকম অফিসে বা সেই রকম কাজে উপার্জিত টাকা অবশ্যই হালাল কিন্তু যেখানে পর্দা সমস্যা হয় সেখানে কাজ করে বা চাকরি করে আপনি যে ঢাকা উপার্জন করবেন সেটা হালাল হবে না।

যেমন আপনি গরু বা মুরগি বা কোন ফার্ম করছেন বা সবজি লাগাচ্ছেন এখান থেকে আপনার যে উপার্জন হচ্ছে তা অবশ্যই হালাল অর্থাৎ আপনি এমন কোন উপার্জন করলেন বা এমন কোন কাজ করলেন যেখানে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক কোন নারীর পর্দা তরফ হয় না সেখান থেকে উপার্জিত অর্থ অবশ্যই অবশ্যই হালাল হবে।

এমন কোন উপার্জন আপনার স্ত্রী বা কোন নারী করলো যেখানে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক পর্দা করা সম্ভব নয় যেমন হাদিস শরীফে আছে যখন একটা পুরুষ এবং একটা নারী একটা রুমে থাকে তখন তৃতীয় ব্যক্তি হচ্ছে শয়তান তো শয়তান যদি আপনাদের মধ্যে তৃতীয় পারসন হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই শয়তানের ধোকায় পড়া সম্ভব বেশি সে জন্য যেখানে পর্দা করা যায় না সেই ধরনের কাজ থেকে উপার্জিত অর্থ হারাম।

অনেকে বলে হিজাব করে যদি কোন কাজ করা হয় সে ক্ষেত্রে সেই উপার্জন হালাল হবে আসলে এখানে হিজাব কোন বিষয় না বিষয়টা হচ্ছে যেখানে পর্দা তরফ হয় না সেখানে কাজ করলে উপার্জিত অর্থ অবশ্যই অবশ্যই হালাল হবে যেমন আপনার স্ত্রী বা আপনার বোন বা আপনার মেয়ে এমন একটা স্কুলে কাজ করে বা এমন একটা অফিসে কাজ করে সেখানে পুরুষ আসে না বা তার সামনে পড়ে না সে ক্ষেত্রে অবশ্যই অফিসে বা স্কুলে উপার্জিত অর্থ অবশ্যই হালাল হবে।

আমাদের দেশে প্রচলিত গার্মেন্টস গুলোতে অনেক নারী কর্মী কাজ করে থাকে আসলে সামাজিক অর্থনৈতিক এবং আমাদের পারিপার্শ্বিক কারণে অনেক সময়ে জীবিকা নির্বাহ করা অনেক দূরহ বিষয় হয়ে পড়ে যা অত্যন্ত বাস্তবতা । এমনও অনেক নারী আছে যার কিনা স্বামী নেই স্বামী হয়তো মারা গিয়েছে অথবা সেই নারী আর হাসবেন্ড তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে অথবা নারী এবং তার কোন অর্থনৈতিক উপার্জনের মত কোন পুরুষ মানুষ নেই সে ক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই উপার্জন করতে হয় আর সে উপার্জন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদেরকে পর্দা করেই উপার্জন করতে হবে ।

স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় এবং স্বামী যদি কর্মঠ হয়ে থাকে বা স্বামী যদি স্বাবলম্বী হয়ে থাকে তাহলে ওইসব ক্ষেত্রে নারীদের বাহিরে গিয়ে উপার্জন করা অর্থ হারাম হবে যদি সেটা পর্দা বহির্ভূত হয়ে থাকে কিন্তু স্বামী যদি টাকা উপার্জন করতে পারে এবং নারীও যদি পর্দায় থেকে কোন কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে সেটা অবশ্যই হালাল হবে।

স্বামী উপার্জন করতে সক্ষম এবং স্বামী যে টাকা উপার্জন করে তা দিয়ে সংসার সুন্দরভাবে চলতে পারে এমন হলে নারীদের বাহিরে না যাওয়াই সর্ব উত্তম তবে অনেক নারী আছে আমাদের সমাজে অর্থ উপার্জন করে সে অনেক লেখাপড়া করছে শিক্ষিত তার যোগ্যতা আছে তার ওপর ভিত্তি করে সে স্বামীর অনুমতি ছাড়াই অথবা অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন অফিসে করে অত উপার্জন করে সেই অর্থ অবশ্যই হারাম হবে।

তাই ইসলাম শরীয়তের উপর ভিত্তি করে আমাদেরকে চাকরির অর্থ উপার্জন করতে হবে এবং যেখানে পর্দার সমস্যা হয় সেখানে নারীদের চাকরি না করাই উত্তম এবং সেখান থেকে উপার্জন অর্থ হালাল হবে না তাই আমাদের উচিত নারীদেরকে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক চলে অর্থ উপার্জন করতে হবে।

পৃথিবীর সুখ কে পরিত্যাগ করে পরকালের সুখের চিন্তা করে আমাদের জীবন চালাতে হবে কারন দুনিয়ার সময় একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আর জান্নাত হচ্ছে চিরকালের জন্য। আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফীক দেন আমিন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here