ডিবি যুক্তি হিসেবে পারিবারিক চাপ, দুই ভাইয়ের পড়াশোনার টাকা জোগানো, ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়া ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে স্পেনে যাওয়ার টাকা সংগ্রহ করতে না পারাকে আত্মহত্যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করছে।
ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফারদিন আত্মহত্যা করতে পারে বলে আমরা তাঁর মাকে অবহিত করেছিলাম। আমরা ঘটনার পর বুয়েটের শিক্ষক, সহপাঠী ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে ফারদিনের পড়াশোনা, পরীক্ষার ফল সম্পর্কে তথ্য পেয়েছি।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে কাজী নূর উদ্দিন কয়েক দিন প্রথম আলোকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ফারদিন ছিল সংগ্রামী, অদম্য মেধাবী, যেকোনো পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে চলতে পারত। ও নিজে নিজেকে প্রস্তুত করেছে। সে আত্মহত্যা করতে পারে না। ফারদিনের বাবা দাবি করে আসছিলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে গত ৪ নভেম্বর ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। ওই দিনই তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় জিডি করেন তাঁর বাবা কাজী নূর উদ্দিন। নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় ফারদিনের বাবা মামলা করেন। মামলায় ছেলের এক বন্ধুকে আসামি করেন। ওই মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন।