১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে এই বধ্যভূমিতে অন্তত পাঁচ হাজার নিরীহ–নিরস্ত্র বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছিল। বধ্যভূমিটি যাতে সংরক্ষণ করা হয়, সে জন্য আইনি লড়াই করতে হয়েছিল। আইনি লড়াই অনেক আগে শেষ হলেও এখনো অবসান হয়নি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার। যার কারণে অযত্ন–অবহেলায় পড়ে রয়েছে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ‘জল্লাদখানা’খ্যাত এই বধ্যভূমি।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক গাজী সালেহউদ্দিন, মিলি রহমানসহ ৮ বিশিষ্ট নাগরিকের রিট আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ১৭ মার্চ বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের আদেশ দিয়েছিলেন।
‘প্রজন্ম ৭১’ নামের একটি সংগঠনের পাশাপাশি একাত্তরের শহীদ পরিবারগুলো সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি চালাচালি করে আসছে। কিন্তু আদেশ বাস্তবায়নে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।